শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

প্রথমদিনেই তিন দেশের ওপর বাড়তি শুল্ক বসাবেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের প্রথমদিনেই মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার ঠেকাতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানান তিনি।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে এ কথা লিখেছেন তিনি।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি শপথ নেওয়ার পর পরই মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আসা সব ধরনের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে নির্বাহী আদেশ জারি করবেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, চীনের সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত না দেশটি থেকে সিনথেটিক ওপিওড ফেন্টানিল মাদক পাচার বন্ধ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটির ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ফেন্টানিলে ব্যবহৃত উপাদানগুলোর উৎপাদন বন্ধ করার জন্য আরও বেশি পদক্ষেপ নিতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হিসাব অনুসারে, ফেন্টানিল মাদক গ্রহণের কারণে দেশটিতে গত বছর ৭৫ হাজার মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘মেক্সিকো এবং কানাডা যতক্ষণ পর্যন্ত না মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ করে ফেন্টানিল মাদক এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশ দুটির ওপর শুল্ক বহাল থাকবে।’

ট্রাম্প মনে করেন, দীর্ঘদিনের উত্তেজনাপূর্ণ এ সমস্যাটি সহজেই সমাধানের মতো সম্পূর্ণ অধিকার ও ক্ষমতা মেক্সিকো ও কানাডা—দুই দেশেরই আছে। এটি তাদের জন্য খুব বড় মূল্য চুকানোর সময়!

আলাদা একটি পোস্টে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বেইজিংকে আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প। তার দাবি, ফেন্টানিলের ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদের লোকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চীনা কর্মকর্তারা। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি তারা রাখেননি।

ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, চীন বিশ্বাস করে বেইজিং-ওয়াশিংটন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়টি দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক। মুখপাত্রের মতে বাণিজ্য যুদ্ধ বা শুল্ক যুদ্ধে কেউই জয়ী হবে না।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, প্রয়োজন মনে করলে মেক্সিকো ও চীনের ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

পোস্টটি শেয়ার করুন